তথ্য ও যোগাযোগের প্রযুক্তি (Information and Communication Technology-ICT) মানুষের জীবন ধারণের পদ্ধতিকে বদলে দিয়েছে- জীবনকে করেছে সহজ ও আনন্দময়। শিক্ষাক্ষেত্রেও তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি যোগ করেছে নতুন মাত্রা। আইসিটি স্থান করে নিয়েছে গ্রামের বিদ্যালয়ের সেই ছোট্ট শ্রেণিকক্ষেও - যেখানে শিক্ষার্থীরা বই-খাতার পাশাপাশি কম্পিউটারেও শিখতে শুরু করেছে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০- এর আলোকে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং সকল ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যোগ্য রূপকার হিসাবে গড়ে তোলে ‘‘ভিশন ২০২১’’ বাস্তবায়নের জন্য এই ওয়েবসাইট অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকের মাঝে নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করে বিদ্যালয় ও শিক্ষা সংক্রান্ত সকল তথ্য দ্রুত পৌঁছতে সহায়তা করবে। এই ওয়েবসাইটটি খোলার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সামগ্রিক মান উন্নয়ন ও তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করণে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হবে এই প্রত্যাশা করছি।
জেলা প্রশাসক,গাইবান্ধা
বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণা ও নিজেকে বিশ্বদরবারে উপস্থাপনের মাস ফেব্রুয়ারি। ছাপাখানা আবিষ্কারের পর আমরা জানলাম ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে দরকার ''মুদ্রণ রূপ''। পরের ইতিহাস কেবলই পরিবর্তনের। সবশেষে আধুনিক কম্পিউটার যুগে অনুপ্রবেশ প্রিয় মাতৃভাষা বাংলার। ভাষা কেন্দ্রিক চেতনার হাত ধরেই এ দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করলো ডিজিটাল বাংলাদেশের। আর বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের এ স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদানের জন্য ২০২১ ভিশন নির্ধারণ করেছে ''ডিজিটাল বাংলাদেশ'' গড়ার। দেশ, জাতি কিংবা সম্প্রদায়কে আর সীমানার জালে আবদ্ধ রাখা সম্ভব না; কেননা সৃষ্টি হয়েছে এক বিশ্ব সীমানা এক বিশ্ব সম্প্রদায়। রাষ্ট্রীয় সীমানার প্রাচীর ভেঙ্গে মানুষ আজ এক সভাতে মিলিত হয়েছে। বিশ্বায়নের এই যুগে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। তাইতো সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এমন অবস্থায় তথ্য প্রযুক্তি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া রীতিমত আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ওয়েব সাইট খুলতে যাচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এখন সহজেই যে কেউ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্বন্ধে অবহিত হতে পারবে। এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একদিকে যেমন জনগনের সম্পৃক্ততা এবং জবাবদিহিতা বাড়বে তেমনি জেলার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী যে কোন তথ্য ও সমস্যা সরাসরি স্কুল প্রশাসনকে অবহিত করতে পারবেন এবং প্রতিকার পাবেন। বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে মানুষ গাইবান্ধার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দেখতে পাবেন ঘরের কাছের আঙ্গিনার মতো করে। আমি প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
প্রাক্তন জেলা প্রশাসক, গাইবান্ধা
বর্তমান বিশ্ব এখন জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়েছে অনেকটা, আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির অত্যাধুনিক ধারায় সিক্ত করেছে নিজেদেরকে। পিছিয়ে নেই আমরাও। তাই বর্তমান সরকারের ‘‘ভিশন ২০২১’’ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমরাও দৃঢ় প্রত্যয়ী।আমরাও চাই শুধু বাংলাদেশ নয় সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠান গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়কে পরিচয় করিয়ে দিতে। তাই আমাদের ওয়েবসাইটটি উন্মুক্ত করে ছড়িয়ে দিতে চাই সর্বত্র। এর ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হবে। এছাড়া আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, অভিভাবক শুভাকাঙক্ষী, মহৎপ্রাণ ব্যক্তিগণ তাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের তথ্য, বিভিন্ন অর্জন, বিজ্ঞপ্তি ও অন্যান্য তথ্য সমূহ দেখে রোমাঞ্চিত হবেন, দূর থেকে আমাদেরকে আন্তরিকতার বন্ধনে আবদ্ধ করবেন। এই ওয়েবসাইটটি খোলার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সামগ্রিক মান উন্নয়ন ও তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করণে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হবে এই প্রত্যাশা করছি।
প্রধান শিক্ষক
সুশান্ত কুমার দেব
গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ দ্যিালয়টি ১৮৮৫ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টি গাইবান্ধা প্রধান ডাকঘরের দক্ষিণ ছোট্ট একটি বাড়িতে ছিল। যে বাড়িটি বামনডাঙ্গার তৎকালীন জমিদার বিদ্যানুরাগী স্বর্গীয় শরৎ চন্দ্র রায় চৌধুরী মহাশয় দান করেন। বিদ্যালয়টিতে জমিদার বাবুর জমির পরিমান ৬ একর ৬৮ শতাংশ । তৎকালীন রংপুর জেলা প্রশাসক জে,এন দাস গুপ্ত ও গাইবান্ধা মহকুমা প্রশাসক জেসি দত্ত মহাশয়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের দরুন জনসাধারণের চাঁদা ও দানের অর্থ দিয়ে মূল বিদ্যালয় ভবনটি তৈরি হয়েছিল। ১৯৬৮ সালে ১ মে তারিখ হতে এটি সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীনে আসে। এর পূর্বে বিদ্যালয়টি এইচ ই লোকাল ও মডেল হাই স্কুল নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তী পর্যায়ে বিদ্যালয়টি গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় নামে সুপ্রতিষ্ঠার সংগে পরিচিত লাভ করে।